Two Leaders of West Bengal Congress and one from Trinamool...
Read More..
জোতিষ্ক অহেতুক মনোযোগের আকাঙ্খা রাখে না; মুগ্ধতায় আমরাই চোখ তুলে চাই। - মৎসুনা ডিহালওয়ায়ো। ডঃ গৌতম ঘোষ হয়তো রাজনীতিগত ক্ষেত্রের এরকমই একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তাঁর পারদর্শিতার ক্ষেত্র শিক্ষা, মানব সম্পদ বিকাশ থেকে বিস্তীর্ণ হয়েছে আইনবিধি হয়ে রাজনীতি পরিচালনা/পর্যালোচনা পর্যন্ত - ডঃ গৌতম ঘোষ এই এশিয়া মহাদেশের একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ্ – অত্যন্ত জনপ্রিয় বিশেষজ্ঞদের একজন।
বহুগুণসম্পন্ন সুধী, ডঃ ঘোষ - একাধারে বিচক্ষণ আইনবিদ্ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক, বিশিষ্ট সমাজ-উদ্যোক্তা এবং একজন উৎকৃষ্ট শিক্ষাবিদ্। তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র “জীবে প্রেম”।
“Police Accountability : At the Cutting Edge” (ঘোষ:২০০৭) তাঁর অন্যতম মননশীল রচনা। এক জটিল উত্তরাধুনিক সময়ের প্রেক্ষাপটে এখানে অত্যন্ত স্বতঃস্ফুর্তভাবে উঠে এসেছে জনগণের দাবীদাওয়ার নতুন হিসেব, বিরোধীপক্ষের সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের জবানবন্দী। তাঁর কলমে উঠে এসেছে গণমাধ্যমগুলির ক্রমবর্ধমান আধিপত্যের ইতিহাস – সোস্যাল মিডিয়া এবং নতুন নতুন গড়ে ওঠা গ্রুপগুলির এক নতুনতর মূল্যবোধের খতিয়ান। লন্ডন স্কুল অফ্ ইকোনমিক্স্ অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স বা এল-ই-সি’র আন্তর্জাতিক এবং জাতীয়ভাবে খ্যাতনামা বিশ্ববন্দিত পাঠাগারে স্থানভুক্ত এই বইটি আর্ট্স কাউন্সিল বা পূর্বতন মিউজিয়ামস্, লাইব্রেরীস্ আর্কাইভস্ কাউন্সিল দ্বারা ‘Designation’ পদমর্যাদায় ভূষিত।
Re-Legitimizing Indian Police (Vol I&II) (ঘোষ:২০১০), তাঁর অন্য এক মননশীলতার সন্তান, যা সারা পৃথিবীর নানা কোণার বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলে মহাসমাদরে স্বীকৃত। ভারতীয় আরক্ষাবাহিনীর বিষয়ে যে কোনো প্রসঙ্গে এর উল্লেখ অনিবার্য।
প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রয়াত ডঃ রমেশ চন্দ্র ঘোষ এবং পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রনিয়োগাধিকারের প্রাক্তন সভাপতি লেফটেনান্ট ডঃ শ্রীমতী বেলা ঘোষের এই সুযোগ্য পুত্র নিজে একজন সুদক্ষ রাজনীতিজ্ঞ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষনের কাজে বহুদিন ধরে নিযুক্ত। পেশাগতভাবে এ সময়ের অত্যন্ত কুশল এই রাজনীতিবিদ্ বর্তমানে এক জাতীয় রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে স্বীকৃত।
একজন বিশিষ্ট অধ্যাপক হবার সুবাদে দেশের বিভিন্ন প্রোথিতযশা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সসম্মানে আমন্ত্রিত হয়েছেন বহুবার।
ডঃ ঘোষ শুধু একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ্ই নন, তাঁর লেখা নিবন্ধগুলি পড়লে তাঁর গভীর অন্তর্দৃষ্টির কিছু পরিচয় পাওয়া সম্ভব। সোস্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিভিন্ন দূরদৃষ্ট ভবিষ্যকথন বিশ্বের নানা কোণের মননশীলতাকে নাড়িয়ে দিয়েছে বহুবার। ডোনাল্ড ট্রাম্ফ বা ভ্লাদিমির পুতিনের জয়, ২০১৮’র ইতালির গিয়ুসেপ কন্টের জয়, বাংলাদেশের শেখ হাসিনার জয় এবং ভারতে নরেন্দ্র মোদীর তিনশোটিরও বেশি আসনে ২০১৯ এর জয় যা তিনি ইলেকশনের বহু আগে, ৫ই মে-তেই, ঘোষণা করেছিলেন সোস্যাল মিডিয়ায় (আব কি বার – তিনশ পার – মোদী সরকার – মেরা পেয়ার) – এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তানের ইমরান খানের জয়ও তাঁর পূর্বঘোষিত অনুমান।নাইজেরিয়ায় মহম্মদ বুহারির অল্ প্রোগ্রেসিভ পার্টির তরফ থেকে রাষ্ট্রপতিপদে জয়, জকোউইদোদোর ইন্দোনেশিয়া জয় এবং সর্বশেষ জাস্টিন ট্রুডোর জয় – সমস্তই তাঁর সুক্ষ্ণ অনুমানের সুতীক্ষ্ণ ফসল। ট্রুডোর জয় বিষয়ে কাব্যিক অনুমানটি তাঁর নিজের ভাষায় ছিলো এইরকম – “Can you hear the chime? Its Justin Trudeau this time!” কিছুটা প্রায় গা ছম্ছমে ভাব এনে দেয় তাঁর এই নির্ভুল অনুমান।
তাঁর মানুষকে চেনা, বন্ধু বানানো, কৌশলগত পক্ষপাতের কারণে বিভিন্ন বিষয়ের একত্রীকরণ এবং একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিবেশিত থাকার ক্ষমতা অসাধারণ। জেরাল্ড ফেরিস এবং ডেরেন সি ট্রেডাওয়ের ২০০৫ এর প্রকাশনার ভাষায় বললে তাঁর দক্ষতা হল সেই ক্ষমতায়, যা, – “কাজের ক্ষেত্রে অন্যকে বোঝার ক্ষমতা, এবং সেই অর্জিত জ্ঞান দ্বারা অন্যকে এমনভাবে প্রভাবিত করা যা ব্যক্তিবিশেষের চারিত্রিক এবং সাংগঠনিক বস্তুনিষ্ঠতাকে বৃদ্ধি করে দেয়।” (“The ability to effectively understand others at work, and to use such knowledge to influence others to act in ways that enhance one’s personal and/or organizational objectives” (Ferris, Treadway et al., 2005).